তাও নীতিবিদ্যা (Taoism)

তাও নীতিবিদ্যা (Taoism) বা তাওইজম হল চীনের প্রাচীন এক দার্শনিক ও ধর্মীয় চিন্তা-ধারা যা মূলত তাও (Tao) বা “পথ” বা “উপায়” ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাও নীতিবিদ্যা প্রধানত চীনের দার্শনিক চিন্তা ও জীবনের মৌলিক উপাদানগুলির মধ্যে অন্তর্নিহিত শক্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখার প্রতি জোর দেয়। তাওবাদী দার্শনিকতা, সংস্কৃতি এবং ধর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, সাদাসিধে জীবনযাপন, এবং অনুগ্রহের মাধ্যমে ভারসাম্য বজায় রাখা।

তাও বলতে সাধারণত এমন একটি শক্তি বা উপাদানকে বোঝানো হয় যা পৃথিবী ও মহাবিশ্বের সবকিছুর মূলে রয়েছে, এবং এটি সবকিছুকে গাইড করে। তাও নীতিবিদ্যায় জীবনের উদ্দেশ্য হল এই তাও বা প্রকৃতির পথ অনুসরণ করা, যেখানে মানুষকে তার নিজস্ব প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি অনুসরণ করতে বলা হয়। এটি ব্যক্তির অনুভূতি, কর্ম এবং দৃষ্টিভঙ্গি সব কিছুকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে চায়, যা ব্যক্তি এবং বিশ্বের মধ্যে আধ্যাত্মিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে।

তাওবাদী চিন্তায়, “প্রাকৃতিক প্রবাহ” বা “Wu Wei” (無為) এক গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যার মানে হল “কর্মহীন কর্ম” বা “কোনো কিছু না করেও সবকিছু ঘটানোর প্রবাহ”। এর মাধ্যমে, তাওবাদী দার্শনিকেরা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত প্রকৃতির নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনের পরামর্শ দেন।

তাও নীতিবিদ্যার বৈশিষ্ট্য

তাও নীতিবিদ্যার কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তার অনন্য দার্শনিক চিন্তাধারাকে চিহ্নিত করে। এগুলির মধ্যে কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য নিম্নে আলোচনা করা হলো, উদাহরণসহ:

. তাও (Tao) বা পথের ধারণা

তাও নীতিবিদ্যার প্রধান ভিত্তি হল তাও বা “পথ”। তাও সবকিছুর মূল, যা পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের শক্তির উৎস। এটি একটি অমীমাংসিত শক্তি যা পৃথিবী, মানুষ, এবং বিশ্বের প্রতিটি অঙ্গের মধ্যে বিরাজমান। তাও নীতিবিদ্যায় জীবনের লক্ষ্য হল এই তাও-কে অনুসরণ করা, অর্থাৎ প্রকৃতির পথ অনুসরণ করা।

উদাহরণ: যদি একটি নদী তার নিজের পথে চলে, তার গতিপথই তার “তাও”। নদী কোনও বাধা ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে গন্তব্যে পৌঁছায়। তেমনি, তাও নীতিবিদ্যায় জীবনকেও এইভাবে প্রাকৃতিক প্রবাহের মধ্যে থাকতে বলা হয়।

২. Wu Wei (无为) – কর্মহীন কর্ম

Wu Wei শব্দের আক্ষরিক অর্থ “কর্মহীন কর্ম” বা “কোনও কিছু না করেও সবকিছু ঘটানোর প্রবাহ”। এটি এমন একটি নীতি যেখানে কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে নিষ্ঠুর বা অপ্রয়োজনীয় প্রয়াস ছাড়া প্রকৃতির স্রোতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করা হয়। এতে কোনো বাধাবিপত্তি ছাড়াই সবকিছু নিজের গতিতে ঘটে।

উদাহরণ: একটি গাছ নিজে নিজেই বেড়ে ওঠে, কোনো চাপ ছাড়া বা বাইরে থেকে কোনো নির্দেশনা ছাড়াই। তাওবাদী দর্শনে, আমাদের উচিত প্রাকৃতিক প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবনযাপন করা, যেভাবে গাছটা বেড়ে ওঠে।

৩. যান্ত্রিকতা ও সাদাসিধে জীবন

তাওবাদী নীতিতে, যান্ত্রিকতা, অর্থ ও জাগতিক জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। একটি সাদাসিধে জীবনযাপনের মাধ্যমে, মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।

উদাহরণ: তাওবাদী সাধকরা সাধারণত অতিরিক্ত বিলাসিতা এবং ভোগবাদিতা থেকে দূরে থাকেন এবং একটি নিরিবিলি, শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করেন, যেখানে তারা প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন।

৪. ইউইন (Yin) এবং ইয়াং (Yang)

ইউইন (Yin) এবং ইয়াং (Yang) হল তাও নীতিবিদ্যার অন্যতম মৌলিক ধারণা, যা পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সব কিছু দুটি পরিপূরক শক্তি হিসেবে দেখানো হয়। ইউইন মানে হল অন্ধকার, স্থিতিশীলতা, নারীত্ব এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি, আর ইয়াং হল আলোক, গতিশীলতা, পুরুষত্ব এবং বাহ্যিক শক্তি। তাওবাদী দর্শনে, এই দুটি শক্তির মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখাই প্রকৃতির পথে চলার অন্যতম চিহ্ন।

উদাহরণ: দিনের এবং রাতের পরিবর্তন, শীত এবং গ্রীষ্মের পার্থক্য, এসবই ইউইন এবং ইয়াং-এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার উদাহরণ।

৫. নির্বিঘ্ন প্রকৃতির সাথেই সমর্পণ

তাও নীতিবিদ্যার দার্শনিকতায়, প্রকৃতি বা স্বাভাবিকতা (Naturalness) হল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাওবাদীরা বিশ্বাস করেন যে প্রকৃতির মতো নির্বিঘ্নভাবে জীবনযাপন করাই আসল জীবন। মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে অকারণে বিরোধ সৃষ্টি করলে, তার আধ্যাত্মিক উন্নতি সম্ভব নয়।

উদাহরণ: কোনো বনে বাস করা তাওবাদী সাধকরা সাধারণত নির্জন জীবন যাপন করেন, যেখানে তারা প্রকৃতির সাথে একাত্ম হন।

৬. নির্বাচিত কর্ম ও নিষ্ক্রিয়তা

তাওবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, জীবনের জটিলতা কমানোর জন্য একজন ব্যক্তির উচিত সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করা, অর্থাৎ কোন কাজের প্রতি কোনও বাধ্যবাধকতা বা চেষ্টা না করে, বরং সময় ও পরিস্থিতির উপযোগিতা দেখে কাজ করা।

উদাহরণ: যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কাজ করতে না চায় বা সে কাজে সফল হতে পারবে না, তবে তাকে সেটা করার জন্য কোনো চাপ দেওয়া উচিত নয়। বরং, তার উচিত নিজে থেকেই কাজের প্রতি আগ্রহ ও প্রাকৃতিক প্রবাহ অনুসরণ করা।

৭. আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরতা

তাওবাদীরা আত্মবিশ্বাস এবং আত্মনির্ভরতার প্রতি গুরুত্ব দেন। প্রকৃতির মতো নিজের নিজস্ব প্রবাহে চলতে হবে এবং অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিজের পথ অনুসরণ করতে হবে।

উদাহরণ: একটি নদী কখনো অন্য নদীকে অনুসরণ করে না, সে তার নিজস্ব গতিতে চলে। তাওবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, মানুষেরও উচিত তার নিজস্ব পথ অনুসরণ করা, যেন সে নিজের ভিতর থেকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পেতে পারে।

৮. অস্তিত্বের অমীমাংসিততা

তাওবাদী দর্শনে, অস্তিত্বের অমীমাংসিততা (mystery of existence) বা রহস্যময়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাওবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, বিশ্বের অনেক কিছুই আমাদের কাছে রহস্যময় এবং সেই রহস্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জীবনযাপন করা উচিত।

উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, জীবনের জন্ম ও মৃত্যু—এসব কিছুই এক ধরনের অমীমাংসিত রহস্য। তাওবাদী দর্শনে এসবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং উপলব্ধির মাধ্যমে শান্তি পাওয়া সম্ভব।

৯. স্বাভাবিক প্রবাহের সাথে সঙ্গতি

তাওবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, সবকিছুই একটি স্বাভাবিক প্রবাহের অংশ। জীবনে কোনও কিছু বাধা সৃষ্টি করা উচিত নয়; সব কিছু প্রাকৃতিকভাবে ঘটে। জীবনযাপনেও মানুষের উচিত এই প্রাকৃতিক প্রবাহের সাথে মিল রেখে চলা।

উদাহরণ: নদী কখনো নিজের প্রবাহের পথে বাধা সৃষ্টি করে না; সে শুধু তার নিজস্ব পথেই চলে। তাওবাদীদের মতে, জীবনেও আমাদের উচিত নিজস্ব প্রবাহে চলা।

১০. মহাকাব্যিক বা আধ্যাত্মিক ঐক্য

তাওবাদী দর্শনে, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সব কিছু একে অপরের সাথে সংযুক্ত এবং একটি বৃহত্তর আধ্যাত্মিক ঐক্যের অংশ।

উদাহরণ: আমরা সবাই প্রকৃতির অংশ, এবং পৃথিবী ও মহাবিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক একে অপরকে প্রভাবিত করে। এই ঐক্য তাওবাদীদের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১১. অনুভূতির মাধ্যমে উপলব্ধি

তাওবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করার জন্য যুক্তি বা বুদ্ধির চেয়ে অনুভূতি এবং অন্তর্দৃষ্টি বেশি কার্যকর। তাওবাদী দর্শন অনুসারে, কেবলমাত্র যুক্তির মাধ্যমে পৃথিবী বা মহাবিশ্বের রহস্য বোঝা সম্ভব নয়; এর জন্য আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতিগুলি ও প্রকৃতির সঙ্গে সখ্যতা জরুরি।

উদাহরণ: একজন তাওবাদী সাধক যদি একটি গাছের নিচে বসে নিঃশব্দে ধ্যান করেন, তবে সে গাছের মৃদু বাতাস, শাখা-প্রশাখার নড়াচড়া, এবং প্রকৃতির সব কিছুর মধ্যে গহীন অনুভূতি খুঁজে পাবে। এই অনুভূতির মাধ্যমে সে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে পারে, যা যুক্তির মাধ্যমে সম্ভব নয়।

১২. অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং আত্মজ্ঞান

তাওবাদী দর্শনে, আত্মজ্ঞান ও অভ্যন্তরীণ শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন তাওবাদী সাধক তার অন্তরের শান্তি লাভের জন্য মন এবং মস্তিষ্ককে মুক্ত করতে চেষ্টা করে। এই শান্তি অর্জনের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি হল, বাইরের বিশ্বের পরিবর্তনের প্রতি অল্প মনোযোগ দেওয়া এবং নিজের ভিতরের শান্তির দিকে নজর দেওয়া।

উদাহরণ: এক তাওবাদী সাধক প্রকৃতির মধ্যে বিশ্রাম নেয়, যেখানে সে বাইরের জগতের সমস্যা, চাপ বা চিন্তা থেকে মুক্ত থাকে। তার লক্ষ্য শুধু অভ্যন্তরীণ শান্তি ও মনের প্রশান্তি লাভ করা, যা তাকে তার আত্মার গভীরে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

১৩. বিশ্বের সঙ্গে একাত্মতা

তাওবাদী দর্শনে, পৃথিবী ও মহাবিশ্বের সঙ্গে একাত্ম হওয়া মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য। তাওবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, প্রকৃতি এবং মহাবিশ্বের সঙ্গে এক হয়ে জীবনযাপন করতে পারলে, মানুষের আত্মা এবং জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য উপলব্ধি করা সম্ভব।

উদাহরণ: একজন তাওবাদী সাধক যদি একটি পাহাড়ের শিখরে ওঠেন এবং সেখানে কিছু সময় নিঃশব্দে বসে থাকেন, তবে সে নিজেকে মহাবিশ্বের অংশ হিসেবে অনুভব করবেন। এই একাত্মতার অনুভূতি তাকে তার আসল অস্তিত্ব সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি প্রদান করবে।

১৪. ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক অনুশীলন

তাওবাদী ধর্মের অংশ হিসেবে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক অনুশীলন যেমন ধ্যান, প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ (প্রাণায়াম), বা শ্বাস এবং দেহের মধ্যে শক্তির সঞ্চালন প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই অনুশীলনগুলির মাধ্যমে তাওবাদী বিশ্বাস করেন যে, মানুষ তার শারীরিক, মানসিক, এবং আধ্যাত্মিক সুষমা ও শক্তি উন্নত করতে সক্ষম হয়।

উদাহরণ: তাওবাদী যোগবিদ্যার মধ্যে “কুইগং” (Qigong) এবং “তাই চি” (Tai Chi) হল এমন অনুশীলন, যা শরীরের শক্তি বা “চি” (Qi) নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টা।

১৫. আধ্যাত্মিক মুক্তি (Immortality)

তাওবাদীতে আধ্যাত্মিক মুক্তির ধারণাও গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তাওবাদীরা শারীরিক অমরত্ব বা চিরস্থায়ী জীবনকে গুরুত্ব দেন না, তবে আধ্যাত্মিক অমরত্ব বা আত্মার মুক্তির দিকে নজর দেন। তাওবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, যদি একজন ব্যক্তি তাও-কে যথাযথভাবে অনুসরণ করেন, তবে তার আত্মা বা জীবনরূপী শক্তি মহাবিশ্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে অমর হয়ে যেতে পারে।

উদাহরণ: তাওবাদী পরমগুরুরা যেমন লাওজিরা বা চাং ইউং, যারা তাওবাদী দর্শনে আধ্যাত্মিক মুক্তির উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হন। তাদের জীবন ও দর্শন অনুসরণ করে একজন তাওবাদী আত্মিক শান্তি এবং মুক্তির দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।

উপসংহার

তাও নীতিবিদ্যা চীনের একটি অত্যন্ত গভীর দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক ধারণা, যা প্রকৃতির পথে চলা, অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে উপলব্ধি এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেয়। তাওবাদী দর্শন এমন এক জীবনযাত্রা প্রস্তাব করে, যেখানে মানুষের উচিত তার কাজগুলো প্রাকৃতিক প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে করা, বাইরের চাপ থেকে মুক্ত থাকা, এবং নিজের ভিতরের শান্তি ও একাত্মতা অর্জন করা। এই দর্শন আমাদের জীবনে আরো বেশি সাদাসিধে, শান্তিপূর্ণ এবং প্রকৃতির সঙ্গে সংহত জীবনযাপনের শিক্ষা দেয়।

তাও নীতির বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে Wu Wei (কর্মহীন কর্ম), Yin-Yang (ইউইন এবং ইয়াং), তাও (পথ), প্রাকৃতিক প্রবাহের সাথে একাত্মতা এবং আধ্যাত্মিক মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো মানবজীবনের সার্থকতা, শান্তি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে।

এছাড়া, তাওবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধা, অভ্যন্তরীণ শান্তি, এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে মানুষের দায়িত্বের ধারণা প্রতিফলিত করে, যা আধুনিক বিশ্বেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *