সত্যের লোনলি ফিলিং আছে…: ’সত্যের ধাঁধা’র ইমিডিয়েট একটা পাঠক-প্রতিক্রিয়া

মূল লেখাঃ সত্যের ধাঁধা

পাঠক প্রতিক্রিয়াঃ 

মেসবাহ কামাল

রিয়ালিটি উদ্ভুত ট্রূথের লোনলী ফিলিং আছে: ট্রূথের আজো থাকে। ট্রূথের ফেলো দরকার হয়। এবং তাই একটা ‘ট্রূথ-শো’ও থাকে। ট্রূথ সিঙ্গেল ট্রূথ না। প্রচুর কম্পেটিশান; মেইড। ট্রূথ একটা রাজনৈতিক জিনিস।

সত্য আর বাস্তবতা ভিন্ন জিনিস – এটা সত্যের প্রথম প্রিমাইজ। আর সত্য এক ছোট বাস্তবতা, অথচ বাস্তবতা এক কঠিন সত্য – এই ব্যপারটা একটা ফ্যক্ট। যে তারাটা খসছে সেটা দেবতার গাড়ি, শয়তানকে মারা তীর, উল্কা, আলেয়া, জ্বীন-পড়ি…ইত্যাদিগুলা  হলো ট্রূথ (মাল্টিপল ট্রূথ)। আর খসার সময় ও আগে-পরে তারার একটা জার্নি আছে – এটা রিয়ালিটি। ইব্রাহিম প্রতিবার তাঁরাকে, চাঁদকে, সূর্যকে ভেবেছে খোদা, কিন্তু প্রতিবার এ প্রতিটা সত্য ইব্রাহিমের কাছে ভুল হিসাবেও ধরা দিয়েছে (মাল্টিপল ফেইসেস অব ট্রূথ)। ও ইব্রাহিম প্রতিবার ভেবেছে কেউ একজন থাকতে পারে যিনি এসবকে চালান – তার জন্য এটা সত্যের  রিয়ালিটি।

মাল্টিপল ট্রূথ থাকে কিন্তু ট্রুথের বাটখারা কী? ট্রূথে বিলিফ ও ফ্যক্ট দুটাই থাকে। ব্যক্তি নিজের ইন্দ্রিয়, অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস…দিয়ে রিয়ালিটি উদ্ভুত ট্রূথকে বুঝে থাকে। মিডিয়ার ট্রূথ উপস্থাপন এজন্যও ফ্যাক্টে পরিণত হয়ে যায়, পাঠক যাকে তথ্য দিয়ে বুঝতে যায় ও যাচাইয়ের সুযোগ রেখে দেয় নিজের কাছে। রিয়ালিটি উদ্ভুত ট্রূথের লোনলী ফিলিং আছে: ট্রূথের আজো থাকে। ট্রূথের ফেলো দরকার হয়। এবং তাই একটা ‘ট্রূথ-শো’ও থাকে। ট্রূথ সিঙ্গেল ট্রূথ না। প্রচুর কম্পেটিশান; মেইড। ট্রূথ একটা রাজনৈতিক জিনিস।

সত্যের পতাকাতলে সত্যের সৈনিক হিসাবে আসার আহবানকে তাই ভাবা দরকার যে সত্যের কোনো একক পতাকা নাই। ট্রূথ মানে সত্য উচ্চারণ না, বরং নিজের সাথে অনেস্ট থাকা হলো নিজের জন্য ট্রূথ, এবং কোনো কিছুকে সবচেয়ে বড় ট্রূথ বলা গেলে এটাকেই বলতে পারা দরকার। সেইসাথে ট্রূথ মানে সত্যি কথা, এমনও না। ট্রূথ মানে মিথ্যাও (ফ্যাক্ট মেইনলি) – মিথ্যা দারুণ সামাজিক, রাজনৈতিক কৌশল। ফলে মিথ্যাও মিথ্যা থাকেনা, মিথ্যা হয় ফ্যাক্ট। “…আর্ত মানবতার সেবায়…” গুলা, মানুষের কনফেশানগুলা, কনভিন্সগুলা, মিথ্যাগুলা (রাজনৈতিক) সত্যে প্রতিষ্ঠিত হতে লাগে।”

মেসবাহ কামাল 

শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

পাঠকবৃন্দ, আমাদের লেখনি সম্পর্কে আপনার যেকোন ধরণের গঠনমূলক সমালোচনা বা মন্তব্য জানাতেন পারেন আমাদেরকে ই-মেইলের মাধ্যমে

If you want to share your thought, you can mail us at- editor.sot@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *