আত্মার সে সম্পর্ক

সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন- “মানুষ”….,আমরা না। আমরা নিজেরাই তো “সৃষ্টি”। মানুষে মানুষে ভেদ সৃষ্টির দায়ভারও তাই আমাদের না। 

ফাতিমা তুজ-জান্নাত

“চিন্তন” শব্দটির আড়ালে অজানা এক রহস্য জড়িয়ে আছে। ভাবনা চিন্তার গভীরে প্রবেশ করে নিজেকে যেনো আরো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পর্যায়ে খুঁজে পাওয়ার ধরণ এই চিন্তন।

মানুষ যখন কোনো বিষয়ে চিন্তা করে তখন তার মাঝে দুই ধরণের পথের হাতছানি দেখতে পাওয়া যায়। আর তা হলো- ইতিবাচক এবং নেতিবাচক ধারা। অর্থাৎ, যেমন প্রচলিত একটি বাক্য যা আমরা প্রায় ব্যবহার করে থাকি, মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। চিন্তাজগতেও তার অস্তিত্ব রয়েছে। 

চিন্তার ক্ষেত্রে প্রতিটা মানুষই স্বাধীন, আবার বহিঃপ্রকাশের ধরণ ব্যক্তিভেদে আলাদা।

কারো কাছে একই জিনিস চিন্তার দিক থেকে এক অর্থ বহন করে, ঠিক ওই বিষয়বস্তু অন্যের কাছে ভিন্ন অর্থের দিকে যোগান দেয়। আলোচ্য আয়োজনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো- মননোত্থান। নিজের মনকে কিভাবে উত্থানের প্রক্রিয়ায় নিমজ্জিত রাখি সে বিষয়ে আমি দুইটি ছোট গল্পের মধ্যে দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করবো।

প্রথমেই আমি উল্লেখ করতে চাই- মানবজীবনের ছোট্ট এই সময়টিতে পৃথিবীকে কিছু দিতে হলে আগে নিজেকে প্রস্তুত করা প্রয়োজন। নিজেকে ঠিক সেরূপে রুপান্তরিত করা দরকার যে রূপে অন্যের কাছ থেকে আমি কাঙ্ক্ষিত ব্যবহার পেতে চাই বা পাবো বলে আশা করি। সুতরাং, নিজ মননের বিকাশ বা চর্চা ব্যতীত তা কখনো সম্ভব নয়। 

বরাবরই আমি মানুষের সাথে মিশে মানুষকে খুব কাছ থেকে জানতে ভালোবাসি। ছোটবেলা থেকে আমার ভিতর মানুষের সান্নিধ্য এক ভালোলাগার জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। সে অর্থে, আমি নিজেকে ভাগ্যবতী বলতে পারি কেননা, একেক জনের জীবনের গল্পগুলো আমার নিজ চিন্তনকে আরো সুদৃঢ় করে তুলেছে। প্রকৃতির সংস্পর্শ আমাকে আরো ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত আমি যেভাবে ভাবতে থাকি, তাতে যেনো আরো গভীরভাবে ভাবার রসদ যোগায়। ফলে, প্রকৃতির আদলে জীবনের চিন্তন বা মননোত্থানের সম্পর্ক যে অত্যন্ত গভীর এ কথা উল্লেখ করা যায়। 

প্রতিটি মানুষই নিজ নিজ গুণে বলিয়ান। কারো সাথে কারো জীবনযাত্রা, আচরণ, নীতি বা জীবন চলার পথ মেলে না, যার যার জীবনে সে সে আপন গতিতে চলমান। চিন্তন যে শুধু নিজের জন্য ভাবা-তা নয়, সমাজের অন্যান্য মানুষের কথা ভাবার বিষয়েও আগ্রহী করে তোলে মানুষকে। আরো বেশি সাহসী করে তোলে মানুষকে। এর মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ দূর করে তোলে। সমাজ, ধর্ম, জাত সবকিছুর উপর যে মানুষের অবস্থান তা সম্পর্কে সহনশীলতার যে আহ্বান তা চিন্তনের দ্বারাই কেবল সম্ভবপর হয়ে ওঠে। এর সাথে জড়িয়ে যায় মানসিক উৎকর্ষতার বিষয়টি। আত্নঃস্বার্থ ত্যাগ করে মানবকল্যাণে নিজেকে নিযুক্ত করার মধ্যে যে সুখ নিহিত- তা হয়তো কেউ কেউ টের পায়, কেউ পায়না। 

এখন আমি আমার দুইটি অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির কথা তুলে ধরার চেষ্টা করছি-

প্রীতিলতা হলের একজন “রাণিয়া খালা”… 

আজ থেকে ঠিক বছর খানেক আগের কথা। সেদিন ছিলো ১৯/১০/২০১৯ তারিখ। স্পষ্ট মনে পড়ে- শনিবার। তার ঠিক দু’দিন আগের ঘটনা। রাণিয়া খালা আমার উপর রাগ করেছিলেন। এর কারণ ছিলো- পূজোর ছুটিতে সেবার বাড়ি আসার আগে কি যেনো মনে হলো- বেড়াতে যাবো খালাদের এলাকায়। খালা ছিলেন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী। সর্বদা হাসিমুখে থাকা- একজন মহৎ হৃদয়ের মানুষ। হলে সবার সাথে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি আমি। তা সত্ত্বেও হলে আপন মানুষের ভিড়ে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি কয়েকটা জায়গায়। আমার রুম, রুমমেট, হল সুপার ম্যাম, ম্যামের ছোট্ট ছেলে, সিক গার্ল খালা, আর হ্যাঁ, হল পরিষ্কার কাজে নিয়োজিত প্রিয় খালাগুলোর কাছে। তাঁদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করতে থাকলেও আমার যেনো সাধ মিটে না। এক্কেবারে আমার রুমের সামনে বসে- গল্প করতেন খালারা মিলে, ওখানে মিষ্টি রোদে হয়তো ভালো লাগতো।

ঘুম থেকে উঠেই দেখতাম তাঁদেরকে। আমি বিশ্বাস করি মনেপ্রাণে, পৃথিবীতে রক্তের সম্পর্ক ধোঁকা দিলেও আত্মার সম্পর্কের মানুষগুলো ধোঁকা দিবেনা কখনোই। রাণিয়া খালা ছিলেন- আমার সেই আত্মার সম্পর্কের মানুষ। তো খালাদের পাড়ায় শাড়ি পরে বেড়াতে গেলাম সেবার পূজোতে।

আহা!

কি খুশি সবাই। মালা খালা, সুমিতা খালাসহ সবাই হুলুস্থূল কান্ড বাঁধিয়ে দিলেন। কি খাবো, কোথায় বসবো, কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো….. এসব কিছু। সবার বাড়িতে নাস্তা করে শেষে গেলাম রাণিয়া খালার বাড়িতে।

খাবারের কথা জিজ্ঞেস করাতে বললাম,

” পেটে আর একটুও জায়গা নেই, খালা…”

খালা বললেন,

” তু কাজটা ঠিক কহরলি নারে বেটি,

গোসস্যা করছি তোর উপর….”

পরে বুঝিয়ে চলে এলাম ঐদিন আর কথা দিলাম-

“আবার আসবো, 

সেদিন অনেক সময় ধরে থাকবো”।

বাড়ি এলাম পরদিন। ছুটি শেষে আবার ছুট দিলাম হল পানে। সেদিন বুধবার। ঠিক পরদিন বৃহঃস্পতিবার সকালে ক্যান্টিনে খেতে এসে খালার সাথে দেখা। রাগ করে ছিলেন খানিক। 

অনেকক্ষণ পর আমি মান ভাঙ্গিয়ে বললাম,

” আচ্ছা, শাস্তি দেন খালা আমায়,

তাও রাগ করে থাকেন না আর….”

খালা বললেন,

” লাড়ু বানিয়েছি,

তোর জন্য পাঠহাই দিবোহনে শানিবার…

লিয়ে লিস, বেটি

ওটহাই তোর সাস্তি… “

সেই ছিলো শেষ দেখা আর কথা খালার সাথে। শনিবার খুব সকালে চিৎকারের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে। ভাবছি, কি না কি হয়েছে। চোখ ডলতে ডলতে সিঁড়ির নিচে যেয়ে বুঝতে পারছিলাম না ঠিক কি হয়েছে…

একটু পর হল সুপার ম্যাম এসে জানালেন, রাণিয়া খালা মারা গেছেন। আমার সারা শরীর কাঁপছিলো আর ঠান্ডা হয়ে আসছিলো বীভৎসভাবে। এটা কিভাবে সম্ভব?  খালা তো বলেছিলেন, আজই নাড়ু আনবেন। সমস্ত কিছু মিথ্যা বলা হচ্ছে চারপাশ থেকে। স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম। সেদিন যেনো আমি কোথাও নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ছুটে গেলাম খালার বাড়ি। বিরাট বাঁশের চাটাইয়ের উপর মস্ত বড় এক নির্থব শরীর ঘুমিয়ে আছেন। আর সবাই শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখনই যেনো “বেটি, তুই আছলি…” বলে উঠে বসবেন খালা।

নাহ….

আর ফিরে আসেননি রাণিয়া খালা। শুনেছিলাম তাঁর ছেলের কাছে, আগের রাতে কিছু বিষয় নিয়ে খুব বিষন্ন ছিলেন। লুকানো আর চাপা কষ্ট আর সইতে পারেননি। আমরা কতো নিজস্বার্থে মগ্ন থাকি। যে মানুষগুলো জীবনের অধিকাংশ বছর এই আমাদের মতো ‘মানুষ’দের শৌচাগারে বর্জ্য পরিষ্কার করে গেছেন নির্দ্বিধায়, বিনা সংকোচে, হাসিমুখে। আমরা কতো সহজেই তাঁদেরকে ভুলে যাই। ভুলে যাই কী মনেই জায়গা দিইনা, যেনো এমন ভাব মনে জায়গা দিলে মন অপরিষ্কার হয়ে যাবে। একই তো পৃথিবী। তবে এতো বিভেদ কেনো- মানুষে মানুষে? 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের ৭০০ একরের বেষ্টনীর ভিতর ‘সুশীল সমাজের মানুষের’ জায়গা হলেও সীমানা প্রাচীর পেরিয়ে-

বড় দরজার ওপাশে গড়ে দেওয়া হয়- রাণিয়া খালাদের মতো মানুষদের ‘ছাপড়া ঘর’…

শুধু আজ তাঁরা ‘ব্রাত্যজন’ বা ‘হরিজন’ সম্প্রদায়ের মানুষ বলে…

অথচ,

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট চাকরী তো তাঁরাও করেন। ওতপ্রোতভাবে তাঁরা জড়িয়েও আছেন এক পরিবারের মতো ভেবেই। একজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা কর্মচারী না আসলে কাজটা কিন্তু ঠিকই বিকল্প পদ্ধতিতে হয়েই যায়। কিন্তু একজন পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা খালা বা মামা না আসলে অন্য কোথাও বাদ দিলাম, হলে টিকে থাকাই দায় হয়ে যায় সেদিন। অহরহ ‘মেথর’ বা ‘সুইপার’ বলে সম্বোধন করেই চলেছি। কিন্তু, পরিচ্ছন্ন-কর্মী বলে পরিচয় দিতে পারিনা আমরা। পৃথিবীটা নির্মল করতে দিনরাত কি বিশাল নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা তাঁদের। তাহলে, তাঁদের কাজকে বা তাঁদেরকে খাটো করে দেখা হয় কোন যুক্তিতে তা অস্পষ্ট আজো।

সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন- “মানুষ”….,আমরা না। আমরা নিজেরাই তো “সৃষ্টি”। মানুষে মানুষে ভেদ সৃষ্টির দায়ভারও তাই আমাদের না। 

মনুষ্য বিভেদকে আমি চরম ঘৃণা করি। নিজের মনকে আরো বেশি উন্নয়নের একটি অন্যতম পন্থা হিসেবে তাই আমি মনুষ্য বিভেদের এই ধারার বাইরে যেয়ে ভাবার চিন্তা করি। আমি বিশ্বাস করি, নিজে তা ধারণ করে, যখন আর পাঁচ জনের মাঝে তার প্রক্ষিত ব্যাখ্যা করবো এবং মানুষ মানেই যে একাত্মা তা বোঝাতে সক্ষম হবো- তখন আমি  নিজেকে স্বার্থক মনে করবো।

একজন বাবু কাকা…

বাবু কাকা ছিলেন একজন ফুচকাওয়ালা। জীবনের শেষ সময় পর্যন্তও মানুষকে খাইয়ে তিনি যে শান্তি পেতেন অন্য কিছুতে এতোটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন কিনা তা আমার জানা নেই। আমি আবারো উল্লেখ করছি, আমার জীবনে আত্মার সম্পর্কগুলো অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে, সবকিছু ছাপিয়ে। জীবদ্দশায় যতো ফুচকা খেয়েছি, কাকার হাতের বানানো সে ফুচকা অতুলনীয়, আমার কাছে সর্বোত্তম লেগেছে। খুব জ্ঞানী মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁর ফুচকার দোকানটা সাজানো ছিলো রঙ বেরঙের টুনি বাল্ব দিয়ে, আর পুরোটা সময় বাজতো পুরোনো দিনের বাংলা বা হিন্দি গানগুলো…আব্দুল হাদি, সুবীর নন্দী, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন, নিলুফার ইয়াসমিন বা লতা মঙ্গেশকার, মোহাম্মদ রফি কখনো নুরজাহান বেগমের গান চালু করে কাজ করতে থাকতেন। ২০০৭ সালে মামার সাথে পরিচয়। ক্লাস সিক্সে পড়তাম তখন। টিফিন নিয়ে যেতাম। হঠাৎ একদিন স্কুলের সামনে আবিষ্কার করলাম মাথায় হ্যাট পরা ভিন্ন সেই মানুষটাকে। ভয়ে ভয়ে গেলাম, তারপর তিনি বারোভাজা খাওয়ালেন…বারোভাজা হলো- চানাচুর, চিড়া, পেঁয়াজ, মরিচ, ভুজিয়া সহকারে মাখানো এক দুর্দান্ত খাবার। সেই স্বাদ অন্য কোনো খাবারের সমতুল্য না। শুরু হলো টিফিন না নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা। কোনোদিন ঝালমুড়ি, কোনোদিন চানাচুর মাখানো, ছোলা মাখানো বা চিড়া মাখানো- কিছুই যেনো বাদ যেতোনা। পালা করে খেতে থাকতাম। আজ ৯ বছর বাড়ির বাইরে থাকি আমি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। মা যেভাবে  বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে খাবার গুছিয়ে দিতেন, বাবু কাকা গুছিয়ে দিতেন তাঁর বাড়ির তৈরি কটকটি, আরো কতো মজার খাবার। বলতেন,

“কাকু, মন দিয়ে পড়বা আর মাঝে মাঝে এগুলা খাবা। দোয়া রইলো, কাকু…”

একদিন জিজ্ঞেস করলাম, “ফুচকা নেই কেনো আজ, কাকা ?”

বললেন, “শরীরটা ভালো না কাকু, ১ মাস ফুচকা বন্ধ থাকবে…”

তারপর চিরতরে দোকান বন্ধ করে চলে গেলেন। আবারো সমাজকেই বলতে ইচ্ছে হয়, কি দিলাম মানুষটাকে?

সারাজীবনে একটা স্থায়ী দোকানও গড়ে দিতে পারলাম না আমরা তাঁকে। শ্বাসকষ্ট ছিলো, একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারলাম না পর্যন্ত। অথচ, কতোবার বাকি খাইয়েছেন কতো মানুষকে…

অনেকের কাছে সাধারণ হলেও আমার কাছে একজন “বাবু কাকা” নামক বিরাট সম্পদ ছিলো। সুখ দুঃখের কথাগুলো বলবার একটা ভরসার জায়গা ছিলেন।

মানুষগুলো ফিরে আসেনা, কোনো মানুষই ফিরে আসেনা। কিন্তু জীবনে একটা মানুষকে তার প্রাপ্ত সম্মানটুকু দেওয়ার মাঝে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার মাঝে যে স্বস্তি পাওয়া যায়, তা হয়তো আর কোনোখানে পাওয়া যায় কিনা তা অজানা আমার কাছে।

মানুষকে আমি ভালোবাসতে ভালোবাসি। এই মানুষগুলোর জন্যই বাঁচতে ভালোবাসি আমি।

আমি কি করলাম প্রতিদিনের জীবনে তা সকলের সামনে বর্তমান যুগের মতো করে প্রদর্শন না করে বরং সে কাজটি যদি নিজ আত্মাকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে, তবেই স্বার্থক হবে আমার প্রচেষ্টা। মননোত্থানের বিষয়টি আমায় বরং ভাবতে শিখিয়েছে- অনেক বড় বড় কোনো কাজ নয়, প্রতিদিন সকাল থেকে থেকে রাত অবধি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজের মধ্য দিয়ে কিভবে নিজেকে নিজে গড়ে তোলা যায়। প্রতিযোগিতা অন্যের সাথে নয়, নিজ মনের ইতিবাচক দিকগুলোকে সামনে আনতে হয়, নেতিবাচকতাকে পিছে ফেলে এগিয়ে যেতে হয়। মনে রাখা প্রয়োজন, এটা ভালো সঙ্গ হওয়া উচিৎ নিজেকে নিজের জন্য। তারপর তার প্রভাব অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।

যখন অন্যের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করার গুণ নিজের মাঝে বিকশিত হবে, ঠিক তখনই মননোত্থান সম্ভব। মানুষের ঐ মানুষের প্রেক্ষিত থেকে বুঝে তাকে তার সাথে সে অনুযায়ী যদি একটা স্থান আমরা নিশ্চিত করতে পারি, তবেই কেবল শান্তির এক রূপরেখা আমাদের আত্মঃহৃদে উন্মোচিত হবে। আত্মার এই সম্পর্কগুলোই যেনো বাঁচিয়ে রাখে আমার অন্তঃরাত্মাকে।

সবশেষে, আত্মঃশুদ্ধিই যেনো জীবনের পাথেয় হয় প্রতি মুহূর্তে সে আশা আমি ব্যক্ত করি।

তাইতো লালনের কথা ধরে বলতে হয়,

“মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপা রে তুই মূল হারাবি,

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি…”

লেখকঃ

শিক্ষার্থী,

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 

যোগাযোগঃ fatimatuzzanna/tananna@gmail.com

Writing is not a view of the School of Thought, it is entirely the opinion of the Author.

If you want to share your thought, you can mail us at- editor.sot@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *